#ধাতব বন্ধন ও ধাতব বন্ধনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো। 

(সংকলনে: মুন)

উত্তর: 

 ধাতব বন্ধন :  কঠিন অবস্থায় ধাতুর পরমাণু গুলি যে আকর্ষন শক্তির মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।

ব্যাখ্যা:

ধাতব বন্ধন
সাধারনত ধাতব পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি, ২ টি বা ৩ টি ইলেকট্রন থাকে এবং এদের আকার একই পর্যায়ের অধাতব পরমাণুর চেয়ে বড় হওয়ায় ধাতব পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের প্রতি নিউক্লিয়াসের আকর্ষন অনেক কম হয়। অর্থাৎ, ধাতব পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে ইলেকট্রন খুবই দুর্বলভাবে নিউক্লিয়াসের সাথে যুক্ত থাকে।
ফলে পরমাণুসমূহ তার সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন সহজেই ত্যাগ করে ধনাত্মক আধানযুক্ত পারমাণবিক শাঁস গঠন করে। পারমাণবিক শাঁসের মধ্যে ত্যাগকৃত ইলেকট্রনগুলো মুক্তভাবে চলাচল করে।

অর্থাৎ, ইলেকট্রন ̧গুলো আর কোনো সুনির্দিষ্ট পরমানুর নিউক্লিয়াসের অধীনে থাকেনা। সমস্ত
ধাতব খন্ডের হয়ে যায়। দেখলে মনে হবে যেন , ধাতব আয়ন ̧গুলো ইলেকট্রন মহাসাগরের মধ্যে ডুবে আছে। চলমান এই ইলেকট্রনগুলোকে সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন বলে।
ধনাত্বক আধানযুক্ত পারমাণবিক শাঁস  ও ঋণাত্বক আধান যুক্ত সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন  মধ্যে এক ধরনের স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল কাজ করে এর ফলে এরা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে বিশেষ বন্ধন তৈরি করে তাই হলো ধাতব বন্ধন ।
ধাতব বন্ধনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য: 


১.ধাতুর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা

ধাতুর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা


সকল ধাতুই বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। ধাতুর স্ফটিকে ধাতব বন্ধনের মুক্তভাবে বিচরণশীল ইলেকট্রন গুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। একটি ধাতব খন্ডের দুই প্রান্তের সাথে ব্যাটারির ধনাত্মক(+) ও ঋণাত্মক(–) প্রান্ত সংযুক্ত করলে ইলেকট্রনগুলো ঋণাত্মক প্রান্ত থেকে ধনাত্মক প্রান্তে যাওয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহন করে। 


২.ধাতুর তাপ পরিবাহিতা

ধাতুর তাপ পরিবাহিতা

এক খন্ড ধাতুকে উত্তপ্ত করলে ধাতব বন্ধনের সঞ্চারণশীল ইলেকট্রনগুলো শক্তি গ্রহণ করে এবং তাদের গতিবেগ বেড়ে যায়। ফলে ইলেকট্রনগুলো অধিক তাপমাত্রার প্রান্ত থেকে কম তাপমাত্রার প্রান্তের দিকে স্থানান্তরিত হয়। এর ফলে ধাতুতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তাপের পরিবহন ঘটে।

এই বিষয়ে বাংলা অ্যানিমেশন ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Theme images by sololos. Powered by Blogger.